পি ই এন বা পেনঃ পশ্চিমবংগ

(নীচের লেখাটি ২০১৩ সালের মার্চের পেনের অনুষ্ঠানের।)

সমবেত মন্ডলী, মঞ্চে উপবিস্ট শ্রদ্ধেয় ও শ্রদ্ধেয়াগন, প্রত্যেকের প্রতিই আমার শুভ সন্ধ্যার অভিবাদন

১) আমি  আমাদের সংগঠনের সেক্রেটারি এখানে আপনাদের সবাইকে আসতে বলেছি যে বিশেষ উপলক্ষে তার কথা আমি বিস্তারিত ভাবে বলব, না হলে আপনারা আমাদের সভার গুরুত্ব  হয়ত বুঝবেননা। আজকের এই সভায় আপনাদের কাছে তিনটি বিষয়ে কথা বলব। ১।  পেন কি, ২) আমাদের সাথে তার সম্পর্ক কি, ৩) একজন লেখক কেন আমাদের সাথে যোগ দেবেন।

জন র‍্যালস্টন সৌল—আন্তর্জাতিক পেন এর প্রেসিডেন্ট

হরি ট্যাকেকি- আন্তর্জাতিক সেক্রেটারি

এরিক ল্যাক্স- আন্তর্জাতিক কোষাধ্যক্ষ

১, সিল্ভেস্টার ক্ল্যাঞ্চিয়ের ২, মার্কেটা হেজকালোভা, ৩, ফিলো ইকোনিয়া ৪, লী গিল-য়ন ৫, ইয়াং লিয়ান ৬, হারুন সিদ্দিকী ৭, আন্তনিও জি ডেলা রোকা

২) আমি পেন বা পি. ই. এন. এর সন্ধান পাই আমাদের সবার প্রিয় দেবকুমার বসুর কাছে। তিনি পেন চালাতেন আর অহংকার করতেন যেহেতু তিনি পেনের মেম্বার  ও সেক্রেটারি। অন্তত আমি সে ভাবেই দেখেছি। দেবকুমার বসুকে আমি এক যুগের ও অধিককাল ধরে চিনতাম, সম্ভবত ৮৬ সালে আমার একটা কবিতা তার ‘সময়ানুগ’ পত্রিকার দিতে গিয়ে পরিচয়। কবিতাটি তিনি ছেপেছিলেন। তরুন কবি হিসাবে আমি জিজ্ঞেস করে ছিলাম ভাল হয়েছিল কিনা, তিনি বললেন না ছেপে উপায় কি? পত্রিকার খালি পাতা তো রাখা যাবেনা, তাই তোমার কবিতা ছাপা হয়েছে। আমি কিছু বল্লামনা , মনে মনে সত্যি ভেবে কস্ট পেয়েছিলাম, ভাবলাম কবিতা ঠিক না হলে ছেপে লাভ নেই। আমি তার পর প্রায় এক যুগ দেবুদার কাছে যাইনি। আর আমার একটা ইনফিরিওর কমপ্লেক্স ছিল, আমি যাই করি তা ভাল হতে পারেনা। কারন, আপনাদের অনেকের মত আমি স্কুল কলেজে পড়াশুনা করতে পারিনি, আমি অশিক্ষিত মানুষ। আজ অবশ্য সেই ভাবনাটা নেই। ১৯৯০ সালে আমার প্রথম ইংরেজী কাব্য গ্রন্থ প্রকাশ হয়, দিল্লী থেকে একটা ট্যাবলয়েড আমার কিছু ইংলিশ কবিতা প্রকাশ করে, তার পর থেকে আমার কমপ্লেক্স সাধারন স্তরে নেমে আসে। দেবুদার মৃত্যুর কিছুকাল আগে থেকে হয়ত বছর পাঁচ ধরে তার টেমার লেন এ আমি আসতাম সপ্তাহে দু তিন দিন। আমি  শিল্পী হিসাবে প্রকাশনা শিল্পের সাথে যুক্ত থাকার দরুন কলেজ স্ট্রিট আসতেই হত। আমি চাইতাম কবি, শিল্পীদের সাথে মিশতে। এই ইচ্ছে থেকেই দেবকুমার বসুর দর্শকের বুধবিকেল আড্ডায় আসতাম।  অনেক লোক আসত, কথা হতনা কিন্তু মুখ দেখাদেখি চেনা হত। দু একজন বাদে আমাকে রেগুলার যারা আসতেন বয়স্কদের কেউ পছন্দ করতেননা। আমার কাছে আসাটা অস্বস্তিকর ছিল। আমি ভাল কবিতা লিখতে পারতামনা। ছবিও তেমন আঁকতে পারিনা। তাই কারোর নজরে আমি পরতামনা। আড়ালেই থাকতাম। দেবুদার আড্ডায় ছিল বয়স্কদের ভিড়। অকবির ভিড়। সেইজন্য অনেক তরুন কবিরা আসতেননা।

একদিন পেন নিয়ে উৎসুক বেড়ে যাওয়ায় দেবুদা আমাকে জানালেন এটা লেখকদের বিশ্বসংগঠন। আমি বিশ্বাস করলামনা,  কারণ অনেক সংগঠন বড় বড় কথা বলে কিন্তু বাস্তবে মিল খুঁজে পাওয়া যায়না। আমি তখন একটু আধটু ইন্টারনেট ব্যবহার করি। আমি সার্চ করে পি. ই. এন. এর ওয়েবসাইট পেলাম। এবং তার হিস্ট্রি পরে দেখলাম দেবুদার গল্পের সাথে অনেক অমিল। যেমন এর শুরু কি করে হল, তার গুরুত্ব কি, কারা চালায়। কি করে এর মেম্বার হওয়া যায়। ইত্যাদি ইত্যাদি। দেবুদা যা জানতেন তার সাথে আমার ইনফর্মেশন অনেক অমিল।

দেবুদা বলতেন আমরা ইন্ডিয়ান পেনের শাখা, আসল অফিস মুম্বাইতে। মুম্বাইর লোকেরা আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে চাইছেনা। আমরা অনেক রেজেস্ট্রি চিঠি দিয়েছি। দেবকুমার বসুর হতাশা আমাকে ছুঁইয়ে ছিল।  আমি ভাবছিলাম আমি লন্ডনের সাথে যোগাযোগ করে একটা নতুন কেন্দ্র করব। দেবুদার জীবিত থাকা কালীন আমি পেনের অনেক অনুষ্ঠানেই কবিতা পাঠ করেছি কিন্তু যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। দেবুদার পেনের ইনফরমেশন ভুলভাল দেওয়ার জন্য আমার খুব রাগ ধরত, তাকে আমি প্রবন্ধ আকারে দু দুবার বাংলায় লিখে দিয়েছি।যাতে তিনি দর্শক পত্রিকায় ছাপতে পারেন ও মানুষে আসল তথ্য পায়। দেবুদা দুবারই হারিয়ে ফেলেন। দেবুদা বলেছিলেন, বিশ্বাস কর, প্রেস হারিয়ে ফেলেছে। আমার কাছে তখন দ্বন্ধ ছিল, এটা কি চালাকি না সত্যি।

লেখাটা আমি সাহিত্যসেতুর জগবন্ধুদাদাই তিনি দেরি হলেও ঠিকঠাক ছেপেছিলেন।  ২৪ শে ফেব্রুয়ারী ২০০৭ এ দেবুদা মারা যান।  দেবুদার অকস্মাৎ মৃত্যুতে আমি অসহায় হয়ে পড়ি, অপরাধ বোধ করি যে আমি লণ্ডনের সাথে যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। দেবুদার পর ডঃ জগন্নাথ ঘোষ পেনের সেক্রেটারি হন পরের মাসে। ডঃ জগন্নাথ ঘোষ কে আমরা জগন্নাথ দা ডাকতাম, তার সাথে পেনের কথা হত। আমি সাধারন মেম্বার বলে কোন বিশেষ আমল পেতাম না।  আর যারা ইগজিকিউটিভ মেম্বার তাদের দেবুদা বানিয়ে গেছেন ইচ্ছেমত, তার কোন নিয়মকানুন ছিলনা, পেন ছিল তার বগলদাবা।

যারা দেবুদার কবিতা পাঠে নিয়মিত যেতেন দেবুদার উপর অগাধ বিশ্বাস ছিল তারাই স্থান পেয়েছিলেন কার্যকরী সমিতিতে। ফলতঃ আমি অফিসিয়ালি পেনের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমি চেয়েছিলাম আমার সক্রিয় ভূমিকা নিতে। জগন্নাথ দা আমার পেনের তথ্য সংক্রান্ত লেখাটা দর্শক পত্রিকায় ছাপেন, ঐ সংখ্যাটায় নিশীথ রায় চৌধুরীর ও পেনের ইতিহাস লেখা ছাপা হবে স্থির ছিল। আমার লেখাটা, পত্রিকা মুদ্রণের কয়েকদিন আগে দিয়েছিলাম। কাকতালীয়ভাবে একসাথে প্রকাশ হলেও দুজনের লেখায় একই তথ্য ছিল।

আমাদের এখানে যারা আসেন তারা পেন জেনেছেন দেবুদার কাছেই। যাই হোক এবং যেমন ভাবেই চালান দেবুদা না পেন চালালে, পেনের অস্তিত্ব আজ আমরা ভাবতাম কিনা সন্দেহ। অন্নদাশংকর রায়ের মৃত্যুর সাথে সাথে পেন মুছে যেত। দেবুদা পেন জেনেছেন অন্নদাশংকরের কাছ থেকে। অন্নদা শংকর রায় ছিলেন পেনের সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট।

পেন ইন্টারন্যাশনালকে আমার প্রথম চিঠি পাঠাই ২৯শে জুন ২০০৭। আমি তাদের জিজ্ঞেস করি কি করে তাদের সভ্য হওয়া যায়। কারন গত ১০ বছর আমরা তাদের যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়েছি। মনে হচ্ছে মুম্বাইতে পেন কাজ করছেনা, তাই আমরা আপনাদের সরাসরি সভ্য হতে চাই।- এই ছিল জিজ্ঞাসার বয়ান।

চিঠিটা পাঠানো হয়েছিল এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্যারোলিন ম্যাক-কর্মিক, ফ্র্যাঙ্ক গিয়ারি সহ আরো দুজনকে পেন ইন্টারন্যাশনালের অফিসারকে।

২৯শেই ক্যারোলিন আমাকে উত্তর দিয়ে জানালেন, যে পেনের সভ্য হতে গেলে সবচেয়ে কাছের পেনসেন্টারে যেতে হবে। আমাদের চিঠি তিনি আমাদের মুম্বাই সেন্টারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এবার নাকি তারাই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবে।

আমার উদ্দেশ্য ছিল একটি নতুন পেন কেন্দ্র খোলার। কারণ আমি বুঝতে পেরেছিলাম মুম্বাই আমাদের পছন্দ করেনা করলে অনেক আগেই দেবুদার পত্রের উত্তর দিত। যদিওবা আমরা তৃতীয় কোন পক্ষের সাহায্যে আবার যোগাযোগ স্থাপিত করি বা হয়, এর কোন নিশ্চয়তা থাকবেন্‌ কতদিন পর আবার  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। এছাড়া খবরের কাগজে প্রায়ই দেখা যায় মহারাস্ট্রের অনেকেই সাম্প্রদায়িক, জাতিভেদাভেদ নিয়ে তাদেরসাথে অনেক অন্য রাজ্যের লোকেদের অশান্তি হয়। হতে পারে তেমন কোন কারণে মুম্বাই গত দু-দশকে কোন বাঙালি লেখককে নিয়ে মুম্বাই পেন কোন অনুষ্ঠান করেনি।

ক্যারোলিনের উত্তর পেয়ে কিছুটা হতাশ। কারণ সে আমাদের আবার মুম্বাইয়ের সাথে যোগাযোগ করতে বলেছে। কিন্তু মুম্বাইয়ের পেন আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করলনা। আমি নিরাশা পেয়ে আবার ক্যারোলিনকে মেইল পাঠালাম।২৯শে জুনের পর দ্বিতীয় চিঠি ১৪ জুলাই। বক্তব্য— আপনি আমাদের ভারতীয় পেনের ঠিকানা দিন নইলে নতুন পেন সেন্টার করতে গেলে কি করতে হবে বলুন।

ক্যারোলিন এই চিঠিটাও ফরোয়ার্ড করে মুম্বাই পেন সেন্টারের সেক্রেটারি রনজিত হোসকোটেকে পাঠালেন। আমাকে জানালেন আমি জানতে পারলাম কিছু বিলম্ব হচ্ছে, ইন্ডিয়ান পেন সেন্টারে সভ্য হওয়ার চাহিদা বেড়ে গেছে। আপনি এই ঠিকানায় রনজিতকে লিখুন (রনজিতের একটা ইমেইল আই ডি দিলেন)আর  জানালেন ইন্টারন্যাশনাল পেনের অয়েবসাইটে  ভারতীয় পেনের ঠিকানা আছে। সেখানথেকে যেন আমি নিয়ে নিই। ১৬ জুলাই রঞ্জিত প্রথম আমার উত্তর  দিলেন। দেবুদার আমলের আগে থেকেই যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল, প্রায় দুদশক সময়। বার বার রেজিস্ট্রি করে তার উত্তর পাওয়া যায়নি, সে উত্তর দিল। রনজিতের কোন উপায় ছিলনা উত্তর না দিয়ে, কারন ইন্টারন্যাশনাল পেন এর কাছে তার  জবাবদিহি করতে হবে। আমার চোখে সে অসৎ, কারণ অনেক মিথ্যা আর বাজে কথা তার ধরা পরেছে। সে ক্যারোলিনকে জানিয়ে আমাকে লিখছে, প্রিয় অ্যালবার্ট,ক্যারোলিন আমাকে একটা পত্র দিয়েছে।  আমরা সদস্য পদ নিয়ে তোমার সাথে শীঘ্রই কথা বলব। আমি তোমার ইমেইলটা আমাদের তালিকায় যুক্ত করে দিলাম। আমাদের মাসে দুটো সাহিত্যসভা কখনো তিন বা চারটে হয়, এবং আমাদের কাজকর্ম এবার থেকে তোমাদের জানাতে শুরু করব।

এবার তোমাদের গ্রুপ সম্পর্কে জানাও। এইবলে সে আমাদের জন্য ছয়টি প্রশ্নের তালিকা পাঠাল। ১)  তোমাদের সংগঠন কবে থেকে শুরু? ২) তোমাদের সদস্য সংখ্যা কত? ৩)  তোমরা কতদিন অন্তর অন্তর বস? ৪) তোমাদের পরিচালন কমিটি আছে কিনা? না স্বাধীনভাবে করছ? ৫)  তোমাদের কী পত্রিকা বা প্রকাশনা আছে? ৬) আমরা তোমাদের সদস্যদের সম্পর্কে জানতে চাই, তারা কি তরুন বা প্রকাশিত লেখক বা সাহিত্য আন্দোলনকারী বা অ্যাক্টিভিস্ট কিনা? এই সকল তথ্য তোমাদের সাহায্য করতে আমাদের প্রচুর সাহায্য করবে।

রঞ্জিতের এই পত্র থেকে পাঠক এটা বুঝতে পারবে যে, রঞ্জিত  কোলকাতার পেনের সম্পর্কে কোন খোঁজ রাখেনা। বা জানেনা। আমাদের দাবী ছিল নতুন কেন্দ্র স্থাপন করা। নতুন কেন্দ্র করতে গেলে যে শর্তগুলি মানতে হয় তা হল ১) যথেস্ট সদস্য সংখ্যা, ২) নিয়মিত সাহিত্য চর্চা, ৩)সাংগঠনিক পরিচালন ব্যবস্থা ৪) মুখপত্র বা ম্যাগাজিন বা কোন প্রকাশনা ৫) তরুন লেখক দরকার, প্রতিষ্ঠিত লেখক ও সাহিত্য আন্দোলনকারী বা অ্যাক্টিভিস্ট দরকার। এইগুলি না হলে সংগঠন চলবেনা।

আমার তখন এমন অবস্থা, টেমার লেনে যেতাম ঠিকই। কিন্তু কারু সাথে কথা বলতে পারতামনা। একে সবাই বয়স্ক মানুষ গন চাকুরি থেকে অবসর নিয়ে সাহিত্য সেবা করছেন, নিয়মিত সব কবিতার আড্ডায় যান সবাইকে চেনেন,  উল্টোদিকে আমি লোকের সাথে কম মিশি, কোথাও যাইনা, পরিচিতি কম, কবিতা পাঠ করে কাউকে ইমপ্রেশ করতে পারিনা, আর আমাকে কেউ ওখানে পছন্দ করেনা। আমি জগন্নাথদার কাছে রঞ্জিতের মেইলের কথা জানালাম।  তখন প্রশ্ন উঠেছিল পেনের মাঝে আমি কি করে পেন কে চিঠি দিই, মেম্বার না হয়ে, আমাকে ইএ কর্তৃত্ব কে দিয়েছে? আমি তখন কলকাতা পেনের সদস্য নই। আমি একবছর পরে ২৬শে মার্চ ২০০৮ এ মেম্বার হই ২৫০০ টাকা দিয়ে লাইফ মেম্বার হিসাবে। যাইহোক জগন্নাথ দার কথা অনুযায়ী আমি পেন কে উত্তর দিলাম। আমাদের বর্তমান কার্যকরী সদস্যদের নাম দিয়ে। জানালাম আমাদের প্রেসিডেন্ট অন্নদা শংকর রায় ছিলেন।  তিনি ২০০২ সালের ২৮শে অক্টোবর মারা যাওয়ার পর সূনীল গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা পেনের চেয়ারম্যান হন।

১৯শ জুলাই,  রঞ্জিত আমার উত্তরে লিখলেন হ্যা, আমি আনন্দিত, তুমি আমাদের সাথে আবার যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছ। আমি যতদুর জানি কিছু কাগজ পত্র হারিয়ে গেছে, তোমাদের কাছ থেকে আমরা আগের কোন যোগাযগের কাগজ পাইনি। তোমাদের কাছে কি আমাদের সাথে যোগাযোগের কোন ঠিকানা ছিলনা? আমাদের প্রেসিডেন্ট অন্নদা শংকর বৃদ্ধবয়সে মারা যান ফলত তার পর থেকে আমরা কোন যোগাযোগ পশ্চিমবংগের সাথে করে উঠতে পারিনি।

আবার চিঠি লেখ, আরো সব কথা বলে। সুনীল দাকে আমার শ্রদ্ধা জানাবে।

এরপর আমাকে জগন্নাথ দা সহ রঞ্জন দা জানালেন তাদের না জানিয়ে যেন আমি চিঠি না দিই।

এরপর তারা আমাকে পশ্চিমঙ্গ পেনের একটা সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বলেন, মণীন্দ্রলাল বসু থেকে শুরু করে রবি ঠাকুর, সোফিয়া ওয়াদিয়া, অন্নদা শঙ্কর হয়ে বিশদ বিবরণ দিয়ে,দেবুদার মৃত্যু দিয়ে, জগন্নাথদার কথা লিখে—কিন্তু পরপর চিঠি দিয়ে উত্তর না মেলায় আমি আবার ইতিহাস লিখে ২৬ শে জুলাই পাঠাই, তারও উত্তর না পেয়ে ৩১ জুলাই রঞ্জিতকে ও পেন ইন্টারন্যাশনালকে  আবার লিখি। এবার আগের ডিম্যান্ড মত জানাই। ভারতবর্ষ একটা বড় দেশ , আমাদের সাথে বিহার, উড়িষ্যা ও ত্রিপুরা আছে। আমরা স্বাধীন পেন কেন্দ্র চাইছি।  আমাদের সদস্যরা চাইছেন। ইত্যাদি ইত্যাদি।

এরপর প্রতি মাসেই তিনটে চারটে করে ইমেইল পাঠাতে লাগলাম ঘুরে ফিরে একই কথা, আমাদের স্বাধীন পেন সেন্টার চাই।

এর মধ্যে আমি পেনের একটি ব্লগ বানাই তাতে সমস্ত পৃথিবীর পেন কেন্দ্রগুলির খবর থাকত।  ইন্টারন্যাশনাল পেন ছাড়াও আমাকে নানা পেন কেন্দ্র থেকে আমি খবর সংগ্রহ করতাম। ফলে ইন্টারন্যাশনাল পেন আমাকে উৎসাহ দিয়ে আমার ব্লগ অ্যাড্রেসটি লিঙ্ক বানিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে রাখলেন। যাতে সবাই তা পরতে পারে। এটা একটা সম্মানিয় ব্যাপার। আমার সাথে নানা বিষয়ে সব পেন কেন্দ্রের চিঠির আদান প্রদান ঘটত। ২৭ এপ্রিল ২০০৮ এ ‘পেন ওয়েস্টবেঙ্গল’ ব্লগ বানালাম । ইন্টারন্যাশনাল পেন খুশী হয়ে আমাকে তাদের আপনজন করে নিল। আমি ইন্টারন্যাশনাল পেনের সাথে ‘ডিফেমেশান ও ইনসাল্ট ল’র উপর কাজ করেছিলাম। তাতে ওরা খুশী হয়ে ৩০ জুলাই ২০০৮ এ আমাকে ওদের ওয়েবসাইটে লিঙ্ক দিয়ে দিল, যাতে আমার লেখা সবাই পড়তে  পারে।

অনেক চিঠির পর ২৫ শে সেপ্টেম্বর ২০০৮ এ রঞ্জিত আমাকে আবার লিখল, এবার লিখল আমার ব্লগ পড়ে

 বলল,  আমি খুবই দুখিত আমাদের মত তোমরা ভাগ্যবান নও। আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে মাদাম সোফিয়া তার পর নিসিম ইজিকিয়েল (১৪-১২-২৪ , ০৯-০১- ০৪) , রমেশ সরকার তারপর আমি পেনকে পেয়েছি। তোমাদের জন্য আমার দয়া হয়। এরপরেই রেগে বলল দেশের অন্য পেন সেন্টার সম্পর্কে বদনাম করনা।

পার যদি নিজের পেন সেন্টার তুমি নিজে কর এবং নিজেদের গুণে, আমার শুভেচ্ছা রইল। চিঠির ভাষা খুবই রাগী।

বুঝতে পারলাম এবার শত্রুতা প্রকাশ্যে এসে গেছে।

১৭ এপ্রিল ২০০৯ এ আমি আমার ব্লগে আমাদের সমস্যার কথা অফিসিয়াল ভাবে প্রকাশ করি। এবং আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ আমেরিকাকে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে জানাই।

এরপর ১২ মে ২০০৯ এ আমি আবার ইন্টারন্যাশনাল পেন কে জানাই যে কি হল আমাদের দাবীর? আমরা হতাশ হচ্ছি। ইন্টারন্যাশনাল পেন কি এমনই? আমরা এখন বিশ্বাস করি ইন্টারন্যাশনাল পেন আমাদের একটা ব্যবস্থা করে দেবে।

দুদিন পর ১৫ মে আবার লিখলাম ফ্রাঙ্ক গিয়ারীকে

আমরা পূর্ব ভারতে একটা পেন সেন্টার  খুলতে চাইছি, কারণ আমাদের ভারতীয় পেন সেন্টার কথা বলেনা, উত্তর দেয়না। আমাদের কাছেও অসম্ভব ২০০ কিমি দূরে থেকে যোগাযোগ রাখি।

তোমরা যদি না পার বলে দাও আমাদের সময় তোমাদের সময় বাঁচে আমরা তোমাদের কাছে যাবনা।

আমার চিঠিতে পেন বুঝতে পারল মুম্বাই কিছু জটিলতা সৃস্টি করেছে। ২২ জুন ২০০৯ এ ক্যারোলিন আবার রঞ্জিতকে কড়া করে লিখল। অ্যালবার্টের সাথে বিবাদ মিটিয়ে নাও।

৭ ই সেপ্টেম্বর ২০০৯ এ ক্যারোলিন আমাকে জানালেন যে আমাদের  ওয়েস্ট বেঙ্গল পেনের প্যাড তিনি দেখেছেন আমরা যেন এসেম্বলি অব ডেলিগেটস অব ইন্টারন্যাশনাল পেনের অনুমতি ছাড়া এই প্যাড না ব্যবহার করি।

তিনি এই পত্রেই আমাকে প্রতিশ্রুতি দেন আমাদের পেন সেন্টার খুলতে সাহায্য করবেন।

১৫ সেপ্টেম্বর ক্যারোলিন আবার রঞ্জিতকে কড়া করে লেখেন আমাদের বিবাদ মিটিয়ে নিতে।আর পেনের ঐক্যতা ও সংহতি যেন না ভাঙ্গে।

১৬ সেপ্টেম্বর আমি আবার ক্যারোলিনকে জানিয়ে রঞ্জিতকে লিখি,

ইন্টারন্যাশনাল পেনের কথা অনুযায়ী আমাদের বিবাদ মিটিয়ে নাও। তোমরা আমাদের পরিত্যাগ করেছ দুদশক ধরে আমাদের এখন নিজেদের পেন চাই তুমি আনাদের অনুরোধ ইন্টারন্যাশনাল পেনকে জানাও।

 আমরা ২০০ কিমি দূরে থেকে কোন অনুষ্ঠান করতে তোমাদের কাছে আসতে পারবনা অনুমতি চাইতে। তাছাড়া আমাদের সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। আমরা আমাদের পেন চাই।

রঞ্জিত ক্যারোলিনের কথায় অপমানিত হয়ে আমাকে হুমকী দিল। সে ক্যারোলিনকে বলছে,

–অ্যালবার্টের কথা, বাজে চিঠি আমি আর নিতে পারছিনা । অসহ্য। আমি পেনের সংহতি আর ঐক্য নস্ট করছিনা।

অ্যালবার্ট পেনের মেম্বার নয়। যে পেনের মেম্বার নয় আমি তার সাথে কথা বলিনা। এ শুধু তোমাদের কাছে অভিযোগ জানাতে আসে।

এখানে একটা কথা বলা ভাল। এর মধ্যে আমার সাথে না পেরে রঞ্জিত সুনীল দাকে ফোন করে জানতে চেয়েছিল, সম্ভবত ঝামেলা মেটাতে চেয়েছিল।সুনীলদাকে যখন জিজ্ঞেস করে অ্যালবার্ট কে? সুনীল দা পরিষ্কার বলেছেন আমি চিনিনা। সুনীল দা কেন একথা বললেন, জানিনা। সুনীলদা আমাদের পেনে কয়েকটা সভায় আসা ছাড়া আর কোন উল্লেখযোগ্য উপকার করেছেন বলে আমি মনে করতে পারছিনা। প্রথম দিকে তিনি আমাদের কোন গুরুত্বই দিতেননা।

রঞ্জিত সুনীল দার সাথে আমার নাম জিজ্ঞেস করা ছাড়া আর কিছু বলেনি। তারপর ক্যারোলিনকে জানাল  আমি পেনের মেম্বার নই।

আমাকে এবার প্রমান করতে হবে আমি পেনের। না হলে রঞ্জিত কড়া ব্যবস্থা নেবে। এছাড়াও ক্যারোলিনকে জানাল, অ্যালবার্ট নিজের ক্ষমতায় পেন বানাক আমাদের সাথে ওকে নেবনা। আর ওকে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব কারন ও আমাদের বদনাম করছে।

প্রিয় বন্ধুগন, আমি এরপর যে কাজটা করেছি তাতে সে আর সাহস পায়নি আমার সাথে লড়ার। আমি সমস্ত দুনিয়ার কাছে ওর মুখোশ খুলে প্রমান করতে পেরেছিলাম সে  একটা মিথ্যুক, প্রতারক। আমার যত ইমেইল ছিল সব  আমার ব্লগে প্রকাশ করে দিলাম, লোকে দেখল তার বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা ছল চাতুরী। এছাড়া সূনীলদা যে মিথ্যা বলেছেন তা আমি আমার ব্লগে তুলে দিলাম।

আমি সুনীলদার কথাটা মিথ্যা প্রমান করলাম আমার ব্লগে অন্নদা শংকর রায়ের সাথে আমার ফটো, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে আমার ফটো, আমাদের বইমেলায় পেনের অনুষ্ঠানে  আমার ফটো আর আমার মেম্বারশিপের টাকা জমা দেওয়ার রিসিপ্টের ফটো প্রকাশ করে। ইন্টারন্যাশনাল পেন দেখল রঞ্জিত কত মিথ্যা বলতে পারে।

আমার দুটি ব্লগ শুধু পেনের খবরে ভরে দিতাম। সমস্ত পৃথিবীর পেন কেন্দ্রের খবর, লেখকদের ভাল লেখা মন্দলেখার খবর, লেখকদের সাথে মামলা মোকদ্দমার খবর, লেখকদের জেলে যাওয়ার খবর প্রায় ৩০০ খবর আমি ২০১০ অব্দি প্রকাশ করেছি। ফেসবুকে ক্যাম্পেন করেছি। এইসব করতে গিয়ে আমি নিস্বঃ হয়ে গেছি। আমার উপায়ের দিকে মনযোগ কমে গেছিল। তবু করেছি। আজকে আমি পৃথিবীর নানা প্রান্তের পেনকেন্দ্রের আধিকারিকদের সাথে পরিচিত। তারা আমাকে সমর্থন করে। আমি তাদের কাছে আমাদের পেনের সমস্যা জানিয়েছি তারা আমার কাথা পেনকে জানিয়েছে। বর্তমানে আমার সাথে পেনবোর্ডের সাতজনের মধ্যে চারজন আমাদের সাপোর্ট করেন এবং তারা আমাদের নিয়ে অনেকবার আলোচনা করেছেন।গত ২০১১রতে মার্কেটা হেজকোলোভা আমাকে যেভাবে গাইড করেছেন সেভাবে কাজ করতে আমাদের সেক্রেটারি ব্যর্থ হয়েছেন। আমাদের দরকার ছিল একটি রেজিস্টার্ড সংগঠন। আমি দেবুদা জীবিত থাকা কালীন বলেছি। জগন্নাথ দাকে বলেছি , বর্তমান সেক্রেটারিকে বলেছি, তার বিশ্বাসই করেনা পেনের মেম্বার হতে গেলে রেজিস্টার্ড সংগঠন প্রয়োজন। এই প্রয়োজন টা একদিন আমি একটা তথ্য ইন্টারনেটে থেকে  জানি যে মুম্বাই পেন সরকারী টাকা পেয়েছে আর বিদেশীরা টাকা দান করার সময় সংগঠনের কাগজ পত্র দেখে। মুম্বাই পেন অনেক বার বড় অংকের টাকা পেয়েছে এটা রঞ্জিতের চিঠিতেই প্রকাশ। তারপর থেকেই আমি আমাদের সেক্রেটারিকে যতবার বলেছি ততবার বাধা পেয়েছি।

২৩শে অক্টোবর ২০০৯ আমি লিখলাম, রঞ্জিতকে কারণ আমাদের ইগজিকিউটিভ বডিতে আমি কিছু সমালোচনা করেছিলাম তাতে সুনীলদার বাড়িতে একটা সভা হয়েছিল। সেখানে রঞ্জনদা আমাকে সদস্য পদ খারিজ করার প্রস্তাব এনেছিলেন, তার বক্তব্য ছিল আমি নিয়ম ভঙ্গ করেছি । তার কিছু দিন আগে আমার ব্লগে আমাদের পেন সেন্টারের কিছু অনিয়ম আমি প্রকাশ করেছিলাম যেমন এটার কোন নিয়মিত রূটিন নেই, অনেক এগজিকিটিভ মেম্বারের ন্যুনতম যোগ্যতা নেই অথচ এগজিকিটিভ স্টাটাস নিয়ে বসে আছেন।

সেক্রেটারি নিজের খেয়াল খুশী মত চলেন তার কথা কাটার অন্য সভ্যদের সুযোগ নেই।

 এই কমিটি বাক্‌স্বাধীনতা মানেনা, বা ডিফেমেশান ল বা ইনসাল্ট ল মানেনা।

২০১১ এর আগস্ট মাসের ১২ তারিখ, মার্কেটা হেজকালোভা, তিনি একজন পি.ই.এন. ইন্টারন্যাশনাল এর সাতজন বোর্ডমেম্বারের একজন, চেকোশ্লাভিকিয়ার পেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ও চেকোশ্লাভিকিয়ার বিদেশ মন্ত্রকে কাজ করেছেন, তিনি ইউনিভারসিটিতে অধ্যাপনা করিয়েছেন , ফিনিশ ভাষার অনুবাদক, নিজে উপন্যাসিক, প্রকাশক,এবং সংগঠক, তিনি নিজের থেকেই আমার কলকাতা পেনের উকালতি শুনে বললেন বেলগ্রেডের আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে আমাদের বিষয়টা উত্থাপন করবেন, আমি যেন তাকে আমাদের তথ্যাদি সরবরাহ করি। আমি সেইমতো কাজ করেছি, তিনি তার কথা রেখেছেন। তিনি আমাদের একজন আন্তর্জাতিক সহযোগী ও শুভাকাংখী।

সুইস-জার্মান পেন এর এডমিনিস্ট্র্যাটিভ ডিরেক্টর, কৃস্টিন টি স্নাইডার, তিনি ২০০৭ থেকে ২০১০ আন্তর্জাতিক পেনের বোর্ড মেম্বার ছিলেন। তিনি আমাকে পরামর্শ দেন ফ্র্যাঙ্ক গিয়ারি, আন্তর্জাতিক সেক্রেটারি হরি ট্যাকিকি কে জানাতে। এবং একজন মধ্যস্থতাকারী হলে ভাল হয়। তিনি মধ্যস্থতা করতে ইচ্ছুক। তিনি হারূন সিদ্দিকীকে ও বলতে বলেন।তিনি বলেন পেনের নামে কাজ চালিয়ে যাওয়াই হল পেনের সদস্য পদ পাওয়া বা পেনের উদ্দেশ্য পালন করা।

উত্তরপূর্ব ইতালীর পেন সেন্টারের প্রেসিডেন্ট  অ্যান্তনিও জি ডেলা রোকা, বর্তমানে পি.ই.এন. ইন্টারন্যাশনাল এর সাতজন বোর্ডমেম্বারের একজন, সম্ভবত ১৪ আগস্ট ২০১১ তে  তিনি আমার সাথে পরিচিত হন, এবং আমাদের অন্ধ সমর্থন করেন।তার সাথে কথাবার্তায় জানা যায় আমাদের বিষয় নিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক পেনের প্রেসিডেন্টের সাথে একাধিকবার কথা বলেছেন।তিনি আমাদের জানান আমাদের এই সংগঠনটাকে রেজিস্ট্রী করা দরকার, আমাদের নিজেদের আইনকানুন বানানো দরকার। এটা করার সময় জেনারেল মিটিং করে করতে হবে।তারপর এটাকে চিহ্নিত করার জন্য ইন্টারনেশনাল পেন কে বলতে হবে। প্রতি বছর এরকম ৩/৪ তে পেন সেন্টার হয়। এবং কোন একটা বড় সংগঠন তোমাদের সমর্থনের দরকার হবে। তখন আমরা তাকে বললে সে  আমাদের সমর্থন করবে।

২০১২ আন্তর্জাতিক পেনের কংগ্রেসের পর আমি জানতে পারলাম আমাদের বিষয়টা নিয়ে কিছু অগ্রগতির খবর শুনতে পাবো। আন্তনিও আমাকে তার ইশারা জানালেন। এবং প্রত্যয় নিয়ে জানালেন।২৬শে সেপ্টেম্বর ২০১২।

০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০

প্রিয় অ্যালবার্ট, তুমি ও তোমার সহকর্মীদের স্কাইপে যোগদান করার জন্য ধন্যবাদ। শুনতে অসুবিধা হওয়ার জন্য ক্ষমা চাইছি। আশা করি এইগুলি পেয়ে মনে হবেনা তোমরা সময় নস্ট করেছ।

এখানে একটা নতুন পেন সেন্টার তৈরি করতে মূল নীতি কি অনুসরণ করতে হবে তার তালিকা আছে। কিছু নীতি আপনাদের সংগঠন করে নিয়েছেন।আমরা যা চাই কোন পেন সেন্টার থেকে তা হল

প্রথম সাধারণ সভার সম্পূর্ণ প্রচারের বিবরণ।

প্রথম সভার আলোচ্যবিষয় ও কি কি হল তার বিবরণের প্রতিলিপি

একটা নতূন কেন্দ্রের প্রণিত আইন বা সং বিধান যেটা আন্তর্জাতিক পেন মঞ্জুওর করবে ( তার নমূনা দেওয়া আছে)

কেন্দ্রের একটা উদ্দেশ্যমূলক বিবৃতি, কেন্দ্র কি করতে চায়, ভবিষ্যৎএ তাদের কি লক্ষ্য তা বর্ণনা করতে হবে। যেখানে আন্তর্জাতিক পেন কেন্দ্রকে স্বীকার করে নিতে পারবে।

সই সহ পেনের চার্টারের প্রতিলিপি,  সদস্যগনের জীবন তথ্য বিশদ বিবরণ

একটা পূর্ণ দৈর্ঘ প্রাথমিক সদস্যগনের তালিকা।

পরের ধাপঃ

আমরা (আন্তর্জাতিক পেন) যখন এইসকল তথ্য পেয়ে যাব তখন আমরা বোর্ডের এই দায়িত্বে যারা আছেন তাদের কাছে পাঠাব। দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি সব তথ্য পরীক্ষা করে দেখে  সুপারিশ করে আন্তর্জাতিক পেনের বোর্ডে পাঠাবে, যে পরের আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে এই প্রস্তাব পাঠানো যাবে কিনা। ওই কংগ্রেসে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রতিনিধিরা ভোটের মাধ্যমে স্থির করবে নতুন পেন সেন্টার গড়ার অনুমোদন পাবে কিনা।

আমাদের পরের কং গ্রেস ২০১৩ র সেপ্টেম্বর মাসে আইসল্যান্ড এর রিকঝাভিক –এ হবে। যত তাড়াতাড়ি আপনারা আমাদের চাওয়া তথ্য পাঠাবেন তত  আপনারা  কংগ্রেসে যাওয়ার ভাল অবস্থান পেতে পারেন। সকল তথ্য ৩০ শে এপ্রিল এর মধ্যে হতে হবে।

যে সকল বিষয়ে স্মরণ রাখতে হবে।

খোলাখুলি সদস্যপদ  দেওয়া পেন কেন্দ্রের সার্থকতা নিশ্চয়তা করতে পারে। আপনার আবেদন খুব শক্তিশালী হতে পারে যদি আপনি বলে দেন কি করে সমস্ত ধরণের লেখকদের আপনি টেনে আনবেন এবং অনুমোদন পেলে আপনি একে কি করে উন্নত অবস্থায় নিয়ে যাবেন।

আমরা একটি দেশে ৫ টি করে কেন্দ্র দিতে পারি সুতরাং, আপনি যদি দেখান কলকাতার বাইরে বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে আপনার কেন্দ্র তাহলে আপনার আবেদন জোরদার হবে। ( আপনি ইতিমধ্যেই এটা বলে দিয়েছেন)

নতুন কেন্দ্র করতে গেলে অল ইন্ডিয়া সেন্টার কে পরামর্শ করে করতে হবে

পল ফিনেগান হলেন বিভিন্ন কেন্দ্র ও কমিটির অফিসার, এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্টান্ট, আন্তর্জাতিক পেন, লন্ডন।

০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০